স্কিন কেয়ার এর কিছুই জানি না। স্কিন কেয়ার কিভাবে শুরু করবো? ছেলে মেয়ে সবার জন্য একটা কমন প্রশ্ন।সেই প্রশ্নেরই উত্তর দেয়ার চেষ্টা করব খুব সহজভাবে।
কল্পনা করুন আপনার মুখকে একটা রুম এর সাথে। রুম টা তে অনেক ধুলো, ময়লা, মাকড়সার জাল , জানালাগুলো বন্ধ , আবার অনেক জায়গায় দেয়াল এর ইট খসে খসে পড়ছে।
এই অবস্থায় আপনি প্রথমে কি করবেন??
- দেয়ালগুলো রিপেয়ার করবেন।
- ঘরগুলো পরিষ্কার করবেন। দিনে দুই বার ঝাড়ু দিবেন এবং একবার মুছবেন।
- জানালাগুলো পরিষ্কার করে খুলে দিবেন – যেন হওয়া বাতাস আসে। আবার সন্ধ্যা হলে জানালা দিয়ে দিবেন। টা না হলে শীত লাগবে
- দিনের বেলা রোদ আসে তাই ভারী পর্দা দিবেন। সেটা না করলে ঘর গরম হয়ে যাবে বেশি
- এবং নিয়মিত এই কাজগুলো কন্টিনিউ করবেন যেন আবার অনেক বেশি ময়লা না হয়ে যায়। মাঝে মাঝে ডীপ clean করতে হবে। এগুলো করলেই দেখবেন ঘরে একটা চকচকে এবং পরিষ্কার ভাব চলে আসছে।
- সব শেষে আসবে ঘর সাজানোর জন্য সুন্দর সুন্দর জিনিস – ফার্নিচার, লাইটিং, শো পিস ইত্যাদি।
ঠিক তো??
এবার ত্বক এবং ঘরের সাথে মিলিয়ে দেখি
ঘরের দেয়াল হল ত্বক এর ব্যারিয়ার। সেটা সরিয়ে তোলা সবথেকে জরুরি। এটা damage থাকলে – আপনার কোন অ্যাডভান্স লেভেল এর স্কিন কেয়ার ই কাজে দিবে না।
- ঘর পরিষ্কার হল ত্বক কে মাইল্ড ফেসওয়াশ দিয়ে ক্লিন করা। আর ঝাড়ু এবং মোছা দুইটাই করা হল Double cleansing করা।
- ত্বক ক্লিন করলে ত্বক এর নিশ্বাস নেবার সুযোগ পায়।আবার moisturizer দিয়ে এই ত্বক এর hydration lock করতে হবে। নইলে ত্বক dehydrated হয়ে যাবে।
- ঘরে অতিরিক্ত সূর্যের আলো আসলে গরম লাগে,তাই পর্দা ইউজ করি। তেমনি ত্বকে sun light পড়লে ত্বক damage হয়ে যায়। এই জন্য sunscreen ইউজ করতে হবে ।
- এই কাজ গুলো নিয়মিত করতে হয়। মাঝে মাঝে ডীপ clean বলতে কেমিক্যাল exfoliation use করতে হবে। এতে ত্বকের ডেড সেল সহ অন্য ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।
- সবশেষে আসবে সেরাম, টোনার, এসেন্স সহ এমনকিছু যেটা ত্বকের গ্লো আরো বাড়াতে সাহায্য করবে ।
তাই, আগেই সেরাম ইউজ করার জন্য মরিয়া হয়ে যাবেন না। আগে বেসিক স্কিন কেয়ার করুন। ত্বক কে healthy করুন। শুরুতেই সেরাম এরজন্য বাজেট না রেখে সবার আগে sunscreen এর জন্য বাজেট রাখুন। সেটা অনেক অনেক বেশি জরুরি।
প্রোডাক্ট ব্যবহারের ধারাবাহিকতা
- Facewash + Moisturizer: ১৫ দিন ইউজ করবেন। স্যুট করেছে কিনা খেয়াল করবেন।
- আগেরগুলোর স্যুট করলে sunscreen এড করবেন। এবং sunscreen এড করলে Double cleansing must.
- এই স্কিন কেয়ার টানা দুই মাস ফলো করবেন। এর ভিতরে আপনার ত্বকের ব্যারিয়ার ডেমেজ থাকলে সেটাও আশা করি উন্নতি করবে।
- উপরের সব কিছু ঠিক থাকল, ত্বকের ব্যারিয়ার ঠিক থাকলে এবং আপনি টিনএজ না হয়ে (আমি বয়স ২০ কে prefer করি) আপনি কেমিক্যাল exfoliation use করতে পারবেন। এটাও ধীরে ধীরে রুটিনে আনবেন। প্রথম মাসে weekly একবার ইউজ করবেন। পরের মাসে weekly দুইবার। এইভাবে করে সর্বোচ্চ উইকলি তিনবার। আর, আপনি যদি SA cleanser use করেন, তাহলে SA cleanser & chemical exfoliation মিলিয়ে weekly সর্বোচ্চ তিনদিন ইউজ করবেন।
- আগের সব প্রোডাক্ট স্যুট করলে কেমিক্যাল exfoliator ব্যাবহারের দুই মাস পরে ত্বকের প্রয়োজন অনুসারে serum add করতে পারবেন (বয়স ২০ কে prefer করি)। দুই মাস পরে বলা হয় – কারণ purging হলে সেটা cure হতে ৪-৬ weeks লগেই যায়।
এইভাবে নিয়ম মেনে স্কিন কেয়ার করলে আপনার ত্বকে কোন সমস্যা হওয়ার প্রবণতা অনেক খানিই কমে যাবে। মনে রাখবেন প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ সবসময়ই উত্তম। Minimal, Effective and Healthy কেয়ারের মাধ্যমেই আপনি পাবেন আপনার Natural Glowing Skin.
আপনার ত্বকের প্রয়োজন বুঝে আজই তৈরী করে নিন বেসিক স্কিন কেয়ার রুটিন। আপনি চাইলে সাহায্য নিতে পারেন আমাদের এক্সপার্ট প্যানেলের –Get Suggestions from our Experts
এই কন্টেন্টটি বাংলাদেশের অন্যতম বড় পার্সোনাল কেয়ার কমিউনিটি J-Beauty Users গ্রুপে লিখেছেন
Tracy Kadir Ahmed।
Amazing content ❤